F ২৮০০০ কিমি বেগে পৃথিবীতে নামবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল! প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ কী ভাবে? ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

২৮০০০ কিমি বেগে পৃথিবীতে নামবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল! প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ কী ভাবে? ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা



২৮০০০ কিমি বেগে পৃথিবীতে নামবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল! প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ কী ভাবে? ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা

মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস) থেকে সোমবারই পৃথিবীর দিকে ফিরতি যাত্রা শুরু করবেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্ল এবং তাঁর সঙ্গীরা। তাঁদের অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের ‘আনডকিং’ প্রক্রিয়া শুরু হবে ঠিক বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়)। সব কিছু ঠিক থাকলে শুভাংশুরা পৃথিবীতে পৌঁছোবেন পরের দিন, মঙ্গলবার। প্রায় ২৩ ঘণ্টার যাত্রা শেষে শুভাংশুদের নিয়ে ক্যালিফর্নিয়ার উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে নামবে ক্যাপসুল। ভারতের ঘড়িতে তখন বিকেল ৩টে ১ মিনিট (১৫ জুলাই)। সমুদ্রে মহাকাশযান অবতরণের প্রক্রিয়াকে ‘স্প্ল্যাশডাউন’ বলা হয়। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করবে।

গত ২৫ জুন স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানে চড়ে আইএসএসের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশু। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন অ্যাক্সিয়ম-৪-এর ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজ়নিউস্কি এবং টিবর কাপু। ১৮ দিন মহাকাশে কাটানোর পর তাঁরা ফিরছেন। শুভাংশু আইএসএস-এ যাওয়া প্রথম ভারতীয়। তাঁকে নাসার অভিযানের সঙ্গে মহাকাশে পাঠানোর জন্য ৫৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে ইসরো। কী ভাবে তাঁরা ফিরবেন, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে নাসা।

  • যে ‘ড্র্যাগন’ মহাকাশযানে চড়ে শুভাংশুরা আইএসএস-এ গিয়েছিলেন, তাতে চড়েই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। সোমবার বিকেলে শুরু হবে ‘আনডকিং’। শুভাংশুদের নিয়ে মহাকাশযানটি মহাকাশ স্টেশন থেকে আলাদা হবে। একেই ‘আনডকিং’ বলা হয়। এই প্রক্রিয়া স্বংয়ক্রিয়। তবে ভিতর থেকে নভশ্চরেরা প্রক্রিয়াটির দিকে নজর রাখেন।
  • আইএসএস থেকে আলাদা হওয়ার পরেই শুভাংশুদের ক্যাপসুল পৃথিবীর দিকে এগোতে শুরু করবে। এই সময়ে ক্যাপসুলের গতি কমানোর জন্য এক বার রকেট নিক্ষেপ করা হবে। একে বলে ‘রেট্রোগ্রেড বার্ন’। মহাকাশযানটি যাতে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে প্রবেশ করতে পারে, তা নিশ্চিত করে এই ‘রেট্রোগ্রেড বার্ন’।
  • পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শুভাংশুদের ক্যাপসুল তীব্র তাপ এবং ঘর্ষণের সম্মুখীন হবে। এই সময়ে ক্যাপসুলের গতি থাকবে ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার। ধীরে ধীরে যা কমে আসবে ২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
  • পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর দু’টি প্যারাশুট খুলবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল থেকে। প্রথমটি ছোট। তার ফলে গতি সামান্য কমবে। তার পর নির্দিষ্ট দূরত্বে পৌঁছোনোর পরে খুলে যাবে মূল প্যারাশুটটি। নাসা জানিয়েছে, যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে, ক্যালিফর্নিয়ার উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে ধীরে ধীরে নামবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল।
  • সমুদ্রে অবতরণের পর স্পেসএক্সের একটি দল দ্রুত পৌঁছে যাবে শুভাংশুদের ক্যাপসুলের কাছে। ক্যাপসুলটিকে তারা তুলে নেবে জাহাজে। তার পর সেখানেই একে একে বেরিয়ে আসবেন নভশ্চরেরা।
  • মহাকাশ থেকে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসছেন শুভাংশুরা। ড্র্যাগন মহাকাশযানে থাকছে ২৬৩ কিলোগ্রামের বাড়তি জিনিসপত্র। মহাকাশে নাসার ৬০-এর বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার তথ্য এবং হার্ডওয়্যার শুভাংশুদের সঙ্গে থাকবে।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment