F পার্থের বিরুদ্ধে ‘শেষ’ মামলাটির শুনানিও শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে, জামিন পেলে জেল থেকে বেরোবেন প্রাক্তন মন্ত্রী
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

পার্থের বিরুদ্ধে ‘শেষ’ মামলাটির শুনানিও শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে, জামিন পেলে জেল থেকে বেরোবেন প্রাক্তন মন্ত্রী



পার্থের বিরুদ্ধে ‘শেষ’ মামলাটির শুনানিও শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে, জামিন পেলে জেল থেকে বেরোবেন প্রাক্তন মন্ত্রী

আরও একটি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে। এই মামলায় জামিন মঞ্জুর হলে তিনি জেল থেকে বেরোতে পারবেন। সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত শুনানি ছিল। শুনানি শেষে আপাতত রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।

২০২২ সালে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই থেকে তিনি জেলে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইডির মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলা থেকেও তিনি জামিন পেয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত সাত হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে পার্থের জামিন মঞ্জুর করেছে। এখন বাকি কেবল প্রাথমিকের মামলা। সোমবার তারই শুনানি ছিল হাই কোর্টে। পার্থের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রাথমিকের এই মামলায় জামিন পেয়ে গেলে তাঁর মক্কেল জেল থেকে বেরোতে পারবেন। তবে শুনানি শেষ হলেও কবে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পার্থ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। সোনাদানা, বাড়ি মিলিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এর পর গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-সহ একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। ইডির পর তাঁকে সিবিআই-ও গ্রেফতার করে। গঠন করা হয় চার্জশিট। পার্থঘনিষ্ঠ অর্পিতা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পার্থ এখনও জেলে। বার বার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। দেখিয়েছেন শারীরিক অসুস্থতার কারণও।

প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গত ২৭ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতে পার্থ ছাড়াও অয়ন শীল, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়দের নাম রয়েছে। এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছিলেন পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। রাজসাক্ষী হওয়ার পর অভিযুক্তদের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ মামলায় অনেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কেন পার্থকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না, আদালতে বার বার সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এই সংক্রান্ত আবেদনের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের যুক্তি, পার্থ নিয়োগ দুর্নীতির ‘মূল মাথা’। মন্ত্রিত্ব হারালেও তিনি প্রভাবশালী। তাই তিনি জেল থেকে বেরোলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। প্রাথমিকের মামলায় হাই কোর্ট কী রায় দেয়, এখন সে দিকে তাকিয়ে সকলে।

Partha ChatterjeeBail PleaCBICalcutta High CourtPrimary Recruitment Case

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment