F সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উদ্‌যাপনের মহাযজ্ঞ! বিশ্ব মানচিত্রে ভারতকে আলাদা জায়গা করে দেয় অনন্ত-রাধিকার বিয়ে
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উদ্‌যাপনের মহাযজ্ঞ! বিশ্ব মানচিত্রে ভারতকে আলাদা জায়গা করে দেয় অনন্ত-রাধিকার বিয়ে



সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উদ্‌যাপনের মহাযজ্ঞ! বিশ্ব মানচিত্রে ভারতকে আলাদা জায়গা করে দেয় অনন্ত-রাধিকার বিয়ে

বছরখানেক আগের কথা। মুম্বইয়ে তখন সাজ সাজ রব। দেশ-বিদেশ থেকে এসে চাঁদের হাট বসিয়েছিলেন খ্যাতনামীরা। হবে না-ই বা কেন, ভারতের বিত্তশালী ব্যবসায়ী মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্রের বিয়ে বলে কথা! সেই বিয়ে, যা উদ্‌যাপন হতে দেখেছিল সারা বিশ্ব। সেই বিয়ে, যা ঐতিহ্য, রীতিনাতি, ভক্তি এবং বিশ্বব্যাপী উদ্‌যাপনের এক বিরল নিদর্শন। সেই বন্ধন, যা ভারতকে বিশ্ব মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে।

এক বছর আগে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুকেশ অম্বানীর পুত্র অনন্ত অম্বানী এবং তাঁর দীর্ঘকালীন প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্ট। অনন্ত এবং রাধিকার পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যে কেবল মনোমুগ্ধকর ছিল তা-ই নয়, এটি ছিল ভারতের সেই সাংস্কৃতিক মুহূর্ত, যা বিশ্ব জুড়ে প্রতিফলিত এবং প্রতিধ্বনিত হয়েছিল।

২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত অনন্ত-রাধিকার বিয়ে ছিল প্রেম, আধ্যাত্মিকতা, ভারতীয় ঐতিহ্য, জাঁকজমকপূর্ণ উদ্‌যাপনের এক বিরল উদাহরণ। এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ভারতের আত্মা এবং বিশ্ব মঞ্চে দেশের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে তুলে ধরেছিল।

রাধিকা-অনন্তের বিয়ের এক বছর পেরিয়েছে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে ভারত এবং বিশ্ববাসীর মননে  বাবা-মা, গুরুজন, আধ্যাত্মিক গুরু, সাধু-সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন নবদম্পতি। বিশ্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন একটি শক্তিশালী বার্তা।

মানবতার সেবাই ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত সেবা’— এই প্রকৃত চেতনা থেকেই অম্বানী পরিবার ৫০ দম্পতির জন্য গণবিবাহেরও আয়োজন করেছিলেন অনন্ত-রাধিকার বিয়ে উপলক্ষে। রিলায়্যান্সের কর্পোরেট পার্কে সেই বিয়ের আসর বসেছিল।

বিবাহ উদ্‌যাপনের পাশাপাশি তিন সপ্তাহ ধরে প্রতি দিন ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষের জন্য মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন অম্বানীরা, যা মানবতার সেবার একই নীতিকে প্রতিফলিত করে।

অনন্ত-রাধিকার বিয়ে শুধু জাঁকজমকের জন্য নয়, এর নেপথ্যে থাকা মূল্যবোধের জন্যও অনন্য। সংস্কৃতি সংরক্ষণের প্রতি অম্বানী পরিবারের মনোযোগ, তাঁদের অন্তর্ভুক্তিমূলক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জনহিতকর কাজের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার উদ্‌যাপনের নিদর্শন।

 


 

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment