F সেটে ‘মজা করে’ নায়িকাকে অশালীন স্পর্শ, একাধিক পরকীয়া! রাজেশ খন্নার বিরুদ্ধে ওঠে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগও
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

সেটে ‘মজা করে’ নায়িকাকে অশালীন স্পর্শ, একাধিক পরকীয়া! রাজেশ খন্নার বিরুদ্ধে ওঠে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগও



সেটে ‘মজা করে’ নায়িকাকে অশালীন স্পর্শ, একাধিক পরকীয়া! রাজেশ খন্নার বিরুদ্ধে ওঠে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগও

একাধিক নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার। কারও সঙ্গে প্রেম করেছেন। কোনও সম্পর্ককে আবার স্বীকৃতি দিতে চাননি। এক সহ-অভিনেত্রীর শরীর অদ্ভুত ভাবে স্পর্শও করতেন তিনি। কিন্তু সমস্তটাই নাকি মজার ছলে।

একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেম। এক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরেই অন্য এক নায়িকাকে বিয়ে। ছাদ আলাদা হলেও আইনি বিচ্ছেদ দেননি অভিনেতা। তার পরেও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। মজা করে নাকি এক সহ-অভিনেত্রীর নিতম্বেও স্পর্শ করতেন অভিনেতা। শোনা যায়, জীবনসায়াহ্নে নাকি প্রথম প্রেমিকার সঙ্গেই আবার সখ্য গড়ে উঠেছিল বলি নায়ক রাজেশ খন্নার।

১৯৬৬ সালে ‘আখরি খত’ ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পদার্পণ রাজেশের। তার পর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে। রাজেশ তাঁর অভিনয়দক্ষতা নিয়ে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন, তেমন তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও বলিজগতে কম জলঘোলা হয়নি। রাজেশ যখন বলিউডে সবেমাত্র নাম করতে শুরু করেছেন, তখন বলি নায়িকা অঞ্জু মহেন্দ্রের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল তাঁর। সেই সময় সবেমাত্র কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অঞ্জু।

মডেলিং জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অঞ্জু। রাজেশ এবং অঞ্জু তাঁদের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও তা জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। অঞ্জুর বাড়ির সামনে প্রায় প্রতি দিন রাজেশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত সেই সময়ে। বলিপাড়ায় তা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় জনসমক্ষে তাঁদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন দুই তারকা।

সাত বছর রাজেশের সঙ্গে প্রেম করার পরেও সেই সম্পর্ক টেকেনি অঞ্জুর। এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জু জানিয়েছিলেন যে, রাজেশ নাকি কখনওই অঞ্জুর কেরিয়ার নিয়ে ভাবতেন না। অঞ্জু অভিনয় করতে চাইলে বাধা দিতেন রাজেশ। অঞ্জুর পোশাক নিয়েও নাকি ঘোর আপত্তি জানাতেন। অঞ্জুকে ছোট পোশাক পরতে দিতেন না অভিনেতা। আবার অঞ্জু শাড়ি পরলেও নাকি বিরক্ত হতেন রাজেশ।

অঞ্জুর দাবি অবশ্য অস্বীকার করেছিলেন রাজেশ। অভিনেতার দাবি ছিল, অঞ্জু তাঁর প্রতি সৎ ছিলেন না। ক্রিকেটার গারফিল্ড সোবার্স এবং পরে ইমতিয়াজ খানের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অঞ্জু। তা জানতে পেরেই নাকি সম্পর্কে দাঁড়ি টেনেছিলেন রাজেশ।

কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, অঞ্জুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল রাজেশকে। পরিবারের কথা মেনে ১৯৭৩ সালে বলি অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়াকে বিয়ে করেছিলেন রাজেশ। এমনকি, বিয়ের সময় ইচ্ছা করে অঞ্জুর বাড়ির সামনে দিয়ে বরযাত্রী নিয়ে গিয়েছিলেন রাজেশ।

রাজেশের সঙ্গে ডিম্পলের বয়সের তফাত ছিল ১৫ বছরের। বিয়ের পর দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ডিম্পল। তবে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশি দিন সংসার করতে পারেননি নায়িকা। ১৯৮২ সাল থেকে ছাদ আলাদা হয়ে গিয়েছিল দুই তারকার। আইনি বিচ্ছেদ না হলেও আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন রাজেশ এবং ডিম্পল।

ডিম্পলের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার পর রাজেশের জীবনে এসেছিল অন্য বসন্ত। সেই বসন্ত নায়কের কাছে ছিল ‘ক্ষতস্থানে মলম লাগানোর মতো’। বলি নায়িকা টিনা মুনিম প্রসঙ্গে এমনটাই বলেছিলেন রাজেশ। আশির দশকে একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রাজেশ এবং টিনাকে।

কানাঘুষো শোনা যায়, রাজেশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও বেশি দিন অভিনেতার সঙ্গে থাকতে পারেননি টিনা। রাজেশকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজেশ কোনও ভাবেই নাকি ডিম্পলকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে রাজি ছিলেন না। সন্তানদের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন না তা টিনাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজেশ। তার পরেই অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল রাজেশের।

বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, বলি অভিনেত্রী মুমতাজের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল রাজেশের। সত্তরের দশকে বড় পর্দায় চর্চিত জুটি ছিল রাজেশ-মুমতাজ। একসঙ্গে ১৫টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে সেটের মধ্যেও তা প্রকাশ্যে দেখা যেত। রাজেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আলোচনা করেছিলেন নায়িকা।

রাজেশের সঙ্গে যেমন খোলামেলা ভাবে মিশতেন, অন্য কোনও সহ-অভিনেতার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না মুমতাজের— বলিপাড়ায় এমন গুঞ্জনই শোনা যেত। মুমতাজ সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘এক জনের সঙ্গে এতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি। বন্ধুত্ব হওয়া তো স্বাভাবিক। রাজেশও আমার সঙ্গে যখন-তখন মজা করত। আমায় কাছের লোক ভাবত ও।’’

মুমতাজের দাবি, রাজেশের সঙ্গে কোনও ছবির শুট চললে নানা রকম ভাবে নায়িকার সঙ্গে খুনসুটি করতেন অভিনেতা। সুযোগ পেলে মজা করে সকলের সামনে মুমতাজের নিতম্বে মারতেন। কখনও কখনও আবার নায়িকার নাকের সঙ্গে নিজের নাকও ঘষে দিতেন রাজেশ।

সেটের মধ্যে মুমতাজের সঙ্গে রাজেশ এত ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশা করতেন দেখে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছিল। কথা বলার সময়ও অনেকটাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছুই ছিল না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মুমতাজ।

বলিউডের জনশ্রুতি, টিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর বহু দিন ‘সিঙ্গল’ ছিলেন রাজেশ। তার পর আবার নারীসঙ্গ পায় রাজেশের জীবন। ২০০৪ সাল থেকে অনিতা আডবাণী নামে এক মহিলার সঙ্গে একত্রবাসে থাকতে শুরু করেছিলেন রাজেশ। কিন্তু সেই সম্পর্ক অনিতার কাছে সুখকর ছিল না।

অনিতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, রাজেশের মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর সঙ্গী হিসাবে ছিলেন তিনি। কিন্তু রাজেশের কাছে শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেন অনিতা। মদ খেয়ে নাকি প্রায়ই অনিতাকে হেনস্থা করতেন রাজেশ।

শুধু অনিতাই নন, রাজেশের জীবনসায়াহ্নে আবার ফিরে এসেছিলেন তাঁর প্রথম প্রেমিকা অঞ্জু। তবে প্রেমিকা হিসাবে ফেরেননি তিনি। কানাঘুষো শোনা যায়, বিচ্ছেদের পর ১৭ বছর একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ রেখেছিলেন রাজেশ এবং অঞ্জু। পরে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাজেশের অন্তিম সময়েও বন্ধুর মতো পাশে ছিলেন অঞ্জু।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment