F আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি গোপালগঞ্জে ঝামেলার আগাম খবর থাকলেও নিরাপত্তায় ফাঁক কেন, প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি গোপালগঞ্জে ঝামেলার আগাম খবর থাকলেও নিরাপত্তায় ফাঁক কেন, প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে



আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি গোপালগঞ্জে ঝামেলার আগাম খবর থাকলেও নিরাপত্তায় ফাঁক কেন, প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০। এখনও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। নতুন করে সেখানে কোনও সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০। এখনও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। নতুন করে সেখানে কোনও সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে যে কোনও গন্ডগোল হতে পারে, আগে থেকেই এমন খবর ছিল। তার পরেও কেন সেই পরিস্থিতি এড়ানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদনে, বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাংবাদিকদের কয়েক জনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সদ্যপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি গোপালগঞ্জে কর্মসূচি করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হবে স্থির করেছিলেন আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এনসিপি নেতাদের মারধর এবং আটকে রাখারও পরিকল্পনা করে হয়েছিল। তার পরেও দু’পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বৃহস্পতিবারই ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীও এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে, কিছু দুষ্কৃতকারী বাইরে থেকেও এসেছিল। তারা এখনও গোপালগঞ্জে অবস্থান করছে। এমন গোয়েন্দা তথ্য আছে। আমরা তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।”

‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে লোক নিয়ে এসে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রচার চালানো হয়েছিল, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে হামলা চালানো হবে। গোপালগঞ্জ জেলার নাম বদলে দেওয়া হবে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তার পরে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, গোপালগঞ্জে যে ঝামেলা হতে পারে, তা বুঝতে গোয়েন্দা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ মুজিবের জেলা গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ বরাবরই শক্তিশালী। হাসিনা সরকারের পতনের পর দলের নেতা-কর্মীরা যখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে পালাচ্ছেন, সেই সময়েও গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলা করেছিলেন তাঁদের কয়েক জন। তাই পুলিশের একাংশও মনে করছেন, গোপালগঞ্জ নিয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।

এনসিপি গোপালগঞ্জে জুলাই পদযাত্রার আয়োজন করেছিল। তাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায়। দিনভর দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি। হামলা, ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে। গুলিও চলে বেশ কয়েক রাউন্ড। গোপালগঞ্জের ঘটনায় ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদেরও অনেকে আহত হয়েছেন। এনসিপি-র অভিযোগ, হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যেরা এই অশান্তি করেছেন। তাঁদের পদযাত্রায় হামলা চালানো হয়েছে। একটি অডিয়ো-বার্তায় হাসিনা পাল্টা বলেন, ‘‘গোপালগঞ্জে এনসিপি গন্ডগোল করেছে। ১৫ জনের গুলি লেগেছে। সাত জন নিহত। কেউ কেউ বলছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।” প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

 

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment