F কসবাকাণ্ড: সিসিটিভিতে ধরা পড়া ব্যক্তিরা কি ‘এম’রাই? নিশ্চিত করবে অভিযুক্তের বিশেষ পরীক্ষা
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

কসবাকাণ্ড: সিসিটিভিতে ধরা পড়া ব্যক্তিরা কি ‘এম’রাই? নিশ্চিত করবে অভিযুক্তের বিশেষ পরীক্ষা



কসবাকাণ্ড: সিসিটিভিতে ধরা পড়া ব্যক্তিরা কি ‘এম’রাই? নিশ্চিত করবে অভিযুক্তের বিশেষ পরীক্ষা

বুধবার কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ‘এম’-এর ‘গেট পরীক্ষা’ হওয়ার কথা। সংশোধনাগারের ভিতরেই এই পরীক্ষা হবে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সিসিটিভি ক্যামেরার ছবির সঙ্গে অভিযুক্তদের হাঁটাচলা মিলিয়ে দেখা হবে।

 


এ বার ‘গেট পরীক্ষা’ হতে চলেছে কসবার কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের। বুধবার ধৃতদের এই পরীক্ষা করে দেখবেন তদন্তকারীরা। এই পরীক্ষায় মূলত অভিযুক্তের শরীরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে তা বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কসবাকাণ্ডেও ধৃতদের পরীক্ষার পর ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিয়ো প্রমাণ।

বুধবার কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ‘এম’-এর ‘গেট পরীক্ষা’ হওয়ার কথা। সংশোধনাগারের ভিতরেই এই পরীক্ষা হবে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সিসিটিভি ক্যামেরার ছবির সঙ্গে অভিযুক্তদের হাঁটাচলা মিলিয়ে দেখা হবে। ধৃতদের এই বিশেষ পরীক্ষা করতে চেয়ে আগেই আবেদন করা হয়েছিল। বুধবার সেই পরীক্ষার অনুমতি মিলেছে। এই পরীক্ষা হলেই প্রমাণ হয়ে যাবে, ল কলেজের সিসিটিভি থেকে উদ্ধার হওয়া ফুটেজে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা আদৌ ‘এম’ ও তাঁর সঙ্গীরা কি না।

কী ভাবে হয় গেট পরীক্ষা? এটি হল একটি শারীরিক পরীক্ষা যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হাঁটাচলার ধরন (গেট প্যাটার্ন) বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। বিভিন্ন কারণে এই পরীক্ষা করা হতে পারে। যেমন, চিকিৎসাক্ষেত্রে কোনও স্নায়ু বা পেশিজনিত রোগের কারণে হাঁটার ধরনে কোনও অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি না তা দেখা, কিংবা অপরাধমূলক কাজে সন্দেহের নিশানায় থাকা কোনও ব্যক্তির হাঁটার ধরন থেকে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা ইত্যাদি। গেট পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সোজা হাঁটতে বলা হয়। কোনও প্রশিক্ষিত ব্যক্তি সেই হাঁটার ধরন পর্যবেক্ষণ করেন। সেই সঙ্গে বিশেষ ক্যামেরা এবং সেন্সর ব্যবহার করে হাঁটাচলার ধরন রেকর্ড করা হয় এবং কম্পিউটারের সাহায্যে তা বিশদ বিশ্লেষণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হাঁটার গতি, প্রতিটি পদক্ষেপের দৈর্ঘ্য, পায়ের অবস্থান এবং শরীরের ভারসাম্য পর্যবেক্ষণ করে ফলাফল পাওয়া যায়।

গত ২৫ জুন কসবার কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্র তথা বর্তমান কর্মী ‘এম’, দুই বর্তমান ছাত্র এবং কলেজের রক্ষী। মঙ্গলবার চার জনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আগামী ৫ অগস্ট পর্যন্ত জেলেই থাকবেন তাঁরা।

Kasba Rape CaseKasba Law CollegeSouth Calcutta Law CollegekasbaRape

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment