F বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরুপকাণ্ডে এ বার সোনা বাজেয়াপ্ত করল সিট
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরুপকাণ্ডে এ বার সোনা বাজেয়াপ্ত করল সিট



বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরুপকাণ্ডে এ বার সোনা বাজেয়াপ্ত করল সিট

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপকাণ্ডে সিটের হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভক্ত মণ্ডল। এ বার তার সোনার গয়নার হদিস পেয়ে একটি দোকানে হানা দিয়ে ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ঘটনা।

সিট সূত্রে খবর, ধৃতের কাছে বেশ কিছু পরিমাণ সোনা আছে জানতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পর তাঁকে নিয়ে খণ্ডঘোষ থানার মাসিলা গ্রামের একটি দোকানে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই দোকান থেকে প্রায় ৩২.৪৮৫ গ্রাম সোনা ও নিবন্ধন খাতা (রেজিস্ট্রার) বাজেয়াপ্ত করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২২ সালে টাকার প্রয়োজনে ওই গয়না বন্ধক দিয়েছিলেন ধৃত ভক্ত। ধৃতকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগেও গিয়েছিল সিট। সেখানে তাঁর ব্যবহৃত কম্পিউটর পরীক্ষা করেছেন তদন্তকারীরা। জেরায় উঠে আসা ধৃতের বয়ান মত অর্থ দফতরের একটি জায়গা থেকে নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) ও ফিনান্স অফিসারের দু’টি সিল সহ-বেশ কিছু নথি ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিবন্ধন খাতা (রেজিস্ট্রার) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার জন্য ওই সিল দু’টি ব্যবহার করা হত।

আমানত তোলার জন্য ব্যাঙ্ককে যে চিঠি দেওয়া হয় ওই চিঠির সঙ্গে ধৃতের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। ধৃতের স্বাক্ষর ও হাতের লেখার নমুনা সমগ্রমের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিট। তা মঞ্জুর করেন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। চতুর্থ বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধৃতের স্বাক্ষর ও হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তদন্তকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকতে হবে ধৃতকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা তোলার চেষ্টার অপর একটি মামলায় ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment