F শিয়ালদহে হস্টেলের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মারধর! দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

শিয়ালদহে হস্টেলের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মারধর! দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ



শিয়ালদহে হস্টেলের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মারধর! দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ

শিয়ালদহের কারমাইকেল হস্টেলের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন। আক্রান্ত পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ।

বুধবার রাতে মুচিপাড়া থানা এলাকায়, শিয়ালদহ সেতুর নীচে কারমাইকেল হস্টেলের কয়েক জন পড়ুয়াকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের আঙুল ওঠে কয়েক জন দোকানদারের বিরুদ্ধে। আহত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁরা কয়েক জন একটি দোকানে মোবাইলের কভার কিনতে গিয়েছিলেন। সেখানে দোকানদারের দেখানো কভারগুলি পছন্দ না-হওয়ার কথা জানান তাঁরা। তার পরেই বাংলায় কথা বলার জন্য কয়েক জন তাঁদের ‘বাংলাদেশি’, ‘রোহিঙ্গা’ বলে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। দেশ থেকে বার করে দেওয়ারও হুমকি দেন।

পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, তাঁদের লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে মারধর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করার জন্য হস্টেলের আরও কয়েক জন পড়ুয়া সেখানে গেলে, তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি কয়েক জনকে ছুরি দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করা হয় বলেও দাবি করেছেন আক্রান্তেরা। কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিক তথা হাজরা ল কলেজের ছাত্র ইসমাইল শেখ বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।’’

এই ঘটনায় বুধবার রাতেই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আক্রান্ত পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা শিয়ালদহের কারমাইকেল হস্টেলে থাকেন।

ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা হলেও এই ঘটনায় পদক্ষেপ করতে চাইছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিকেলে কারমাইকেল হস্টেলের সুপার-সহ ছাত্র প্রতিনিধিদের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। কেন পড়ুয়াদের মারধর করা হয়েছে, তা নিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রয়োজনে পুলিশের কাছে পৃথকভাবে অভিযোগও জানাতে পারেন কর্তৃপক্ষ। বিকেলের বৈঠকর পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment