F গুজরাতের স্কুলে ছাত্র খুন: ‘ভাই, একেবারে মেরে ফেলা উচিত হয়নি’! অভিযুক্ত পড়ুয়ার সঙ্গে বন্ধুর কথোপকথন প্রকাশ্যে
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

গুজরাতের স্কুলে ছাত্র খুন: ‘ভাই, একেবারে মেরে ফেলা উচিত হয়নি’! অভিযুক্ত পড়ুয়ার সঙ্গে বন্ধুর কথোপকথন প্রকাশ্যে



গুজরাতের স্কুলে ছাত্র খুন: ‘ভাই, একেবারে মেরে ফেলা উচিত হয়নি’! অভিযুক্ত পড়ুয়ার সঙ্গে বন্ধুর কথোপকথন প্রকাশ্যে

অষ্টম শ্রেণির পড়়ুয়ার হাতে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার খুনের ঘটনায় উত্তাল গুজরাতের অহমদাবাদ। স্কুলের সামনে দশম শ্রেণির ছাত্রকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত পড়ুয়ার এক বন্ধু তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনাটি জানতে চায়। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্ত পড়ুয়াকে সে বলে, এ ভাবে একেবারে মেরে ফেলা উচিত হয়নি। অভিযুক্ত পড়ুয়া এবং তার বন্ধুর কথোপকথন পুলিশের হাতে এসেছে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রকাশ্যে আসা ওই কথোপকথন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে অভিযুক্ত পড়ুয়া এবং তার বন্ধুর কথোপকথন ঠিক এই রকম—

অভিযুক্তের বন্ধু: ভাই, আজ তুই কিছু করেছিস নাকি?

অভিযুক্ত পড়ুয়া: হ্যাঁ

বন্ধু: ভাই, তুই কি ছুরি মেরেছিস?

অভিযুক্ত পড়ুয়া: তোকে কে বলল?

বন্ধু: এক মিনিটের জন্য আমাকে ফোন কর। কথা আছে।

অভিযুক্ত পড়ুয়া: না না, এখন করা যাবে না।

বন্ধু: চ্যাটে এই সব আলোচনা করা ঠিক না। আমার মাথায় প্রথম তোর নামটাই এসেছে। তাই তোকেই প্রথমে মেসেজ করলাম।

অভিযুক্ত পড়ুয়া: এখন কথা বলতে পারব না। দাদা সঙ্গে রয়েছে। ও সব কিছু জানে না। কিন্তু এই ঘটনার কথা কে ওকে বলল?

বন্ধু: ভাই, ছেলেটি মরে গিয়েছে মনে হয়। মারতিস। কিন্তু একেবারে মেরে ফেলা উচিত হয়নি।

অভিযুক্ত পড়ুয়া: যা হয়ে গিয়েছে, হয়ে গিয়েছে।

বন্ধু: কিছু দিন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যা। আর এই চ্যাট ডিলিট করে দিস।

অভিযুক্ত পড়ুয়া: হুমম।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অহমদাবাদের খোখরার একটি স্কুলে দুই পড়ুয়ার বচসার পরই এক জনের বিরুদ্ধে আর এক জনকে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত পড়ুয়া ছুরি নিয়ে এসেছিল। স্কুল থেকে কয়েক হাত দূরে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার উপর হামলা চালায় সে। তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই অবস্থায় দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছুটতে শুরু করে। কিন্তু কিছুটা যাওয়ার পরই রাস্তায় পড়ে যায়। স্থানীয়েরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বুধবার সকালে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।

পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই উত্তাল হয়ে ওঠে অহমদাবাদের খোখরা এলাকা। স্কুলের সামনে কয়েকশো মানুষ এবং পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে তোলেন অভিভাবকেরা। স্কুলে ভাঙচুরও চালানো হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অভিযুক্ত পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment