F গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু, চিহ্ন নেই আঘাতের! কল্যাণী এমসে নন্দীগ্রামের নার্সের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কী বলছে
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু, চিহ্ন নেই আঘাতের! কল্যাণী এমসে নন্দীগ্রামের নার্সের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কী বলছে



গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু, চিহ্ন নেই আঘাতের! কল্যাণী এমসে নন্দীগ্রামের নার্সের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কী বলছে

শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু হয়েছে দীপালি জানার। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের নার্সের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কল্যাণী এমস।

হুগলির সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমে দীপালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার থেকে। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ওই যুবতীর প্রেমিক এবং নার্সিংহোমের মালিক। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কী কারণে আত্মহত্যা করছেন, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে বিষক্রিয়া অথবা অন্য কারণে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ময়নাতদন্তের সময় শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি যেমন, যকৃৎ, কিডনি, পাকস্থলী ইত্যাদি রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

গত বুধবার সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল দীপালির। তার দু’দিন আগে তিনি নার্সের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পততিবার সকালে ২৪ বছরের নার্সের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুনের অভিযোগ করে পরিবার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। মৃতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি অভিযোগ করে কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি করে পরিবার। অবশেষে গত ১৬ অগস্ট কল্যাণী এমসে ময়নাতদন্ত হয়েছিল নার্সের। চার জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ তথা চিকিৎসক ম‍্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করেন। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ায় মৃত্যু হয়েছিল নার্সের। শারীরিক নির্যাতনের কোনও চিহ্ন ছিল না। অন্য দিকে, মৃতার প্রেমিক রাধাগোবিন্দ ঘটকের মোবাইলের খোঁজে সিঙ্গুর থানার পুলিশ।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment