F স্কুটার শিখতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণী এবং প্রশিক্ষকের দেহ উদ্ধার আনন্দপুরের খালে! খোঁজ মিলছিল না সোমবার থেকে
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

স্কুটার শিখতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণী এবং প্রশিক্ষকের দেহ উদ্ধার আনন্দপুরের খালে! খোঁজ মিলছিল না সোমবার থেকে



স্কুটার শিখতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণী এবং প্রশিক্ষকের দেহ উদ্ধার আনন্দপুরের খালে! খোঁজ মিলছিল না সোমবার থেকে

আনন্দপুরের খাল থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার হল প্রশিক্ষকের দেহ। তার কিছু পরে উদ্ধার হয়েছে সেই তরুণীরও দেহ। সোমবার স্কুটার চালাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রণিতা বৈদ্য নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী। খোঁজ মিলছিল না প্রশিক্ষক রোহিত আগরওয়ালেরও। মঙ্গলবার পুলিশ কুকুর দিয়ে আনন্দপুর এলাকায় তল্লাশি চালায়। এর পরে খালে ডুবুরি নামানো হয়। শেষে উদ্ধার হয় রোহিত এবং রণিতার দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের পকেট থেকে মিলেছে একটি চাবি। চাবিটি তরুণীর স্কুটারের বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দপুরে খালের ধারে যেখানে তরুণীর স্কুটার মিলেছিল, সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় কুকুরকে। এর পরে কুকুর নিয়ে আশপাশের এলাকাতেও খোঁজ করে পুলিশ। শেষে মঙ্গলবার সকালে খালে ডুবুরি নামানো হয়। দুপুর ১২টা নাগাদ খাল থেকে উদ্ধার হয় একটি দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটি প্রশিক্ষক রোহিতের। কিছু পরে খাল থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর দেহ। রণিতার পরিবারের লোকজন দেহটি তাঁর বলে শনাক্ত করেন। ১৯ বছরের রোহিতের দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রণিতা এবং রোহিত দু’জনেই আনন্দপুরের উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা। মাস পাঁচেক আগে স্কুটি কিনেছিলেন রণিতা। পরিবারের দাবি, বন্ধু রোহিতের কাছে স্কুটি চালানো শিখছিলেন রণিতা। সোমবার স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না রোহিতেরও। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অজ্ঞাতপরিচয় এক জন ফোন করেন আনন্দপুর থানায়। তিনি জানান, নোনাডাঙা সেতু থেকে এক তরুণ এবং এক তরুণী নোনাডাঙা খালে ঝাঁপ দিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছোলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্কুটিতে সওয়ার এক তরুণ এবং তরুণী পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন। এর পরে তরুণী স্কুটি থেকে নেমে খালের দিকে ছুটে যান। তখন তরুণও খালের পাড়ে স্কুটি রেখে তরুণীর পিছনে যান। কিছু ক্ষণ পরে ওই প্রত্যক্ষদর্শী খালে ঝাঁপ দেওয়ার শব্দ শুনতে পান।

এর পরেই স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় একটি মদের দোকানে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ দেখে, ওই তরুণী এবং তরুণী খালের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। যেমনটা বলেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী। এর পরেই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ খাল থেকে উদ্ধার হয় রোহিতের দেহ। পরে রণিতার দেহও মিলেছে।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment