F ধনখড়ের ইস্তফা মঞ্জুর, সত্যিই অসুস্থতা না অন্য কিছু? আচমকা পদত্যাগের কারণ নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা, নীরব কেন্দ্র
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

ধনখড়ের ইস্তফা মঞ্জুর, সত্যিই অসুস্থতা না অন্য কিছু? আচমকা পদত্যাগের কারণ নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা, নীরব কেন্দ্র



ধনখড়ের ইস্তফা মঞ্জুর, সত্যিই অসুস্থতা না অন্য কিছু? আচমকা পদত্যাগের কারণ নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা, নীরব কেন্দ্র

উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন ধনখড়। মঙ্গলবার সকালেই তা গৃহীত হয়ে গেল।

উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে সরাতে চেয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সোমবার রাতে আচমকাই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফাকে কিছুটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। অন্য দিকে, উপরাষ্ট্রপতির হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত একপ্রকার নীরবই রয়েছে কেন্দ্র।

ধনখড় নিজে অবশ্য ইস্তফাপত্রে লিখেছেন শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি এই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে সংশয় প্রকাশ করেছেন ধনখড়ের ইস্তফার কারণ নিয়ে। মঙ্গলবার সকালে সংসদ চত্বরে প্রবেশের সময় তিনি বলেন, “কী কারণ, তা একমাত্র তিনিই (ধনখড়ই) জানেন। এই নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। হয় তিনি জানেন, নয়তো সরকার জানে।”

শিবসেনা (উদ্ধব)-র রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত আরও এক ধাপ এগিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, স্বাস্থ্যের কারণে ইস্তফা, এই তত্ত্ব তিনি মানতে নারাজ। এর নেপথ্যে কোনও বড় রাজনীতি রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন রাউত। শিবসেনা (উদ্ভব) সাংসদের কথায়, “এর নেপথ্য রাজনীতির কোন খেলা রয়েছে, তা শীঘ্রই প্রকাশ্যে চলে আসবে। উপরাষ্ট্রপতির ইস্তফা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়।” রাউতের বক্তব্য, সোমবারও তিনি ধনখড়কে দেখেছেন। তখন তাঁকে দৃশ্যত সুস্থই লাগছিল। উদ্ধব শিবিরের অপর রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীরও বক্তব্য, সোমবার ঠিকঠাকই দেখাচ্ছিল ধনখড়কে।

যাঁরা সোমবার ধনখ়ড়কে সামনাসামনি দেখেছেন, এমন অনেক সাংসদই ধনখড়ের অসুস্থতা নিয়ে সন্দিহান। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অখিলেশ প্রসাদের কথায়, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। তখন তাঁকে বেশ খোশমেজাজেই দেখাচ্ছিল। তাঁর একমাত্র চিন্তা ছিল যাতে অধিবেশনকে সচল রাখা যায়। তবে কি ধনখড়কে বাধ্য করা হল ইস্তফা দিতে? সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের আর এক সাংসদ সৈয়দ নাসির হোসেন। তিনি বলেন, “গতকাল পর্যন্তও তিনি (ধনখড়) রাজ্যসভার কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি কি নিজেই ইস্তফা দিলেন, নাকি তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে, এটি প্রকাশ্যে আসা উচিত।” ধনখড়ের আচমকা ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে-ও। স্ট্যালিনের দলের সাংসদ টিআর বালুক মঙ্গলবার সকালে স্পষ্টতই দাবি করেন, ‘চাপের কারণেই’ ইস্তফা দিয়েছেন ধনখড়।

একদা বিজেপি নেতা ধনখড়কে ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করা হয়। ওই সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে ধনখড়ের সংঘাত লেগে থাকত। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে তিনি উপরাষ্ট্রপতি হন। সংবিধান অনুসারে, ভারতের উপরাষ্ট্রপতিই সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা পরিচালনা করেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন বিরোধী সাংসদেরা বার বার তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কক্ষ পরিচালনায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছিলেন বিরোধীরা। যদিও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ সেই সময় তা খারিজ করে দিয়েছিলেন।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment