F অনুপস্থিত সরকারি আইনজীবী কল্যাণ, ছাত্রভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

অনুপস্থিত সরকারি আইনজীবী কল্যাণ, ছাত্রভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে



অনুপস্থিত সরকারি আইনজীবী কল্যাণ, ছাত্রভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে

দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে গত ১৭ জুলাই নির্বাচন না-হওয়া নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ৭ অগস্ট এই মামলার শুনানি হবে। সে দিন সব পক্ষকে প্রস্তুত হয়ে আসতে বলেছে আদালত।

দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে গত ১৭ জুলাই নির্বাচন না-হওয়া নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। তা ছাড়া রাজ্যের কাজ শুধু এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা। তার পরেই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করুক রাজ্য, বাকিটা দেখে নেবে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ এ-ও জানায় যে, এই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, তা-ও আদালতকে জানাতে হবে।

ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা মামলাটি করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হলফনামা তুলে ধরে তিনি জানান, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনও ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। অনেক কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে কোনও কার্যকর ছাত্র সংগঠন নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ছাত্র সংগঠন বা সংসদ নেই অথবা সম্প্রতি ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, সেখানে ছাত্র সংসদের কক্ষ বা ‘স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুম’ তালাবন্ধ করে রাখতে হবে। কোনও ছাত্র শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া ইউনিয়ন রুমে প্রবেশ বা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনও ছাত্র যদি ইউনিয়ন রুমে প্রবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেন, তবে তার কারণ লিখিত ভাবে জানাতে হবে। এই নির্দেশ শুধুমাত্র ‘ছাত্র সংসদ কক্ষ’-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে জানায় আদালত।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment