F ম + ম = ম সমীকরণের সঙ্গেই গ্রাম দিয়ে শহর, পরিষেবা দিয়ে রাজ্য ঘিরছেন মমতা, ভোটের লক্ষ্যে বুথে-বুথেও যাবে নবান্ন
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

ম + ম = ম সমীকরণের সঙ্গেই গ্রাম দিয়ে শহর, পরিষেবা দিয়ে রাজ্য ঘিরছেন মমতা, ভোটের লক্ষ্যে বুথে-বুথেও যাবে নবান্ন



ম + ম = ম সমীকরণের সঙ্গেই গ্রাম দিয়ে শহর, পরিষেবা দিয়ে রাজ্য ঘিরছেন মমতা, ভোটের লক্ষ্যে বুথে-বুথেও যাবে নবান্ন

২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ভিড়ের বিন্যাস দেখে ভোটের আগে আশ্বস্ত তৃণমূল। যে কোনও বড় জমায়েতেই সাংগঠনিক শক্তি মেপে নেওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। সোমবার সেই শক্তি প্রদর্শনের পর তার রেশ কাটার আগেই মঙ্গলবার সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মহিলা এবং মুসলিম ভোট মিলে মমতা। অর্থাৎ, ম + ম = ম। মূলত এই সমীকরণের উপর ভিত্তি করেই তিনটি বিধানসভা ভোটে সাফল্য লাভ করেছে তৃণমূল। কিন্তু একই সঙ্গে আগামী বিধানসভা ভোটে তারা যাবে ১৫ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা সঙ্গে নিয়েও। সেই কারণেই বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার পুরনো সমীকরণের সঙ্গেই তিনি জুড়ে দিচ্ছেন পরিষেবা দিয়ে রাজ্য ঘেরার পরিকল্পনা।

সোমবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলের জন্য বিধানসভা ভোটের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার সেই ভোটের লক্ষ্যে সরকারি কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘আমার পাড়া, আমার সমাধান’। যার আসল উদ্দেশ্য সরকারের পরিষেবাকে বুথ স্তরে নিয়ে যাওয়া। যা বাস্তবায়িত করতে সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে পাড়ায় পাড়ায় নামবে শাসক তৃণমূলের সংগঠনও।

তৃণমূলের বার্ষিক শহিদ সমাবেশের ভিড়ের বিন্যাসে দেখা গিয়েছে গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরে ফেলেছে শাসকদল। জমায়েতে প্রধানত গ্রামের গরিব মানুষ, বিশেষত সংখ্যালঘু মুসলিম এবং মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অর্থাৎ, যারা মমতার জনসমর্থনের মূল ভিত্তি। যা দেখে ‘আশ্বস্ত’ তৃণমূল। যে কোনও রাজনৈতিক দলের বড় জমায়েতেই সাংগঠনিক শক্তি মেপে নেওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। সোমবার সেই শক্তি প্রদর্শন এবং তার নিরূপণের পর মঙ্গলবারেই সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা থেকে এই বার্তা স্পষ্ট যে, ২০২৬ সালের ভোট জেতার লক্ষ্যে সরকার এবং সংগঠনকে সমান্তরাল ভাবে মাঠে নামাতে চলেছেন নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আরও একটি ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মমতা। তবে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা পড়তে চেয়েছিলেন ‘ভিড়ের ভাষা’। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই ভিড়কে বিধানসভার আধারে ফেলে দেখতে চেয়েছিল শাসকদল। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছিল, শহরাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি ভাল ফল করলেও গ্রামে একচেটিয়া সমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। মুসলিম এবং মহিলা ভোট যে মমতার সঙ্গেই রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করেছিল লোকসভা নির্বাচন। সোমবারের সভায় ভিড়ের বিন্যাস দেখে তৃণমূল মনে করছে, ভোটের বিন্যাসও বদলাবে না। এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘বাংলায় ২৯৪টি বিধানসভার মধ্যে ১৭৪টি কেন্দ্র পুরোপুরি গ্রামীণ এলাকায়। আরও কিছু কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে গ্রাম-মফস্‌সলের মিশেল রয়েছে। আবার মোট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কমবেশি ১০০টি কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ন্ত্রক। ফলে বিজেপি যতই মেরুকরণের চেষ্টা করুক, ওরা সফল হবে না।’’

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment