F ৩১ জুলাই কলকাতার সব পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে মমতা, বাড়বে কি অনুদানের পরিমাণ? আশায় কর্মকর্তারা
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

৩১ জুলাই কলকাতার সব পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে মমতা, বাড়বে কি অনুদানের পরিমাণ? আশায় কর্মকর্তারা



৩১ জুলাই কলকাতার সব পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে মমতা, বাড়বে কি অনুদানের পরিমাণ? আশায় কর্মকর্তারা

এ বছর বৈঠকের একটি বিশেষ দিক হল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি। সম্প্রতি রাজ্যের সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার দিকটি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বৈঠকে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে দু’জন করে সদস্য উপস্থিত থাকবেন।

এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শারদোৎসব। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। আসন্ন উৎসবের প্রস্তুতি ঘিরে আগামী ৩১ জুলাই কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা, কলকাতা পুরসভা, দমকল বিভাগ, সিইএসসি, পুলিশ প্রশাসন, পরিবহণ ও স্বাস্থ্য দফতরের মতো একাধিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও। প্রতি বছরের মতো এ বারও এই বৈঠক থেকে দুর্গাপুজোর অনুদানের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের দৃষ্টি এখন ৩১ জুলাইয়ের বৈঠকের দিকেই। সাধারণত এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুজো কমিটির উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশ ও অনুরোধ জানান। যেখানে তিনি পরিবেশবান্ধব পুজো, শব্দবিধি মেনে চলা, ট্রাফিক ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা, এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উৎসবকে শান্তিপূর্ণ করে তোলার কথা বলেন।

এ বছর বৈঠকের একটি বিশেষ দিক হল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি। রাজ্যের সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার দিকটি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বৈঠকে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে দু’জন করে সদস্য উপস্থিত থাকবেন। পুজোকে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে তুলে ধরার বার্তাই এর নেপথ্যে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও নিরাপত্তা— কোনও দিকেই যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক। কলকাতা ও শহরতলির পাশাপাশি জেলার পুজো কমিটিগুলিও যাতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে, সেই বার্তাও দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে এক সামাজিক, সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করেছেন। সরকারি অনুদান থেকে শুরু করে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, মহিলাদের জন্য পিঙ্ক পুলিশ, স্বাস্থ্য পরিষেবা—সমস্ত ক্ষেত্রেই পুজোর সময় নজরদারি বাড়ানো হয়। এ বারও সেই ধারা বজায় রেখেই এই বৈঠক হবে বলে মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এ বছর মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির জন্য বাড়তি কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলেও আশা করছেন পুজা কমিটির উদ্যোক্তারা।

Related to this topic:

Comments

Leave a Comment